বিশ্বের প্রথম এআই প্রযুক্তির নীতিমালা চীনে

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: জেনারেটিভ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে চীন। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে দ্রুত বর্ধনশীল প্রযুক্তিটি নিয়ন্ত্রনে চীনই প্রথম নীতিমালা করলো।

দেশটির শীর্ষ ইন্টারনেট ওয়াচডগ সাইবারস্পেস অ্যাডমিনেস্ট্রেশন অব চায়না সম্প্রতি এআই নিয়ন্ত্রনে হালনাগাদকৃত নীতিমালাগুলো উন্মোচন করে যা আগামি ১৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে এপ্রিলে নীতিমালাগুলোর খসড়া সংস্করণ প্রকাশ হয়। খসড়ার তুলনায় মূল নীতিমালাগুলোকে তুলনামূলক নমনীয় মনে হচ্ছে। এতে করে ধারণা করা হচ্ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারে ইচ্ছুক বেইজিং নতুন এ শিল্পটির মধ্যে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা দেখছে।

Techshohor Youtube

আলিবাবা, বাইদু এবং জেড ডট কমের মতো চীনের অনেক শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিই নিজস্ব সংস্করনের এআই চ্যাটবট উন্মোচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

নতুন প্রকাশ করা নীতিমালাগুলো শুধুমাত্র চীনের জনসাধারনের জন্য পাওয়া যাবে এমন পরিষেবার জন্য প্রযোজ্য হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন করা প্রযুক্তি অথবা বিদেশি ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা প্রযুক্তিগুলো এ নীতিমালার বাইরে থাকবে।

বর্তমান নীতিমালায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বাদ দেয়া হয়েছে। আগে এসব শাস্তির মধ্যে নীতিমালা ভঙ্গের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ ইউয়ান (১৪ হাজার ২৭ ডলার) পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের নির্দেশ ছিল।

এছাড়াও নীতিমালার গুরুত্বপূর্ণ ধারার মধ্যে জেনারেটিভ এআই সার্ভিস প্রদানকারীদেরকে নিরাপত্তামূলক পর্যালোচনা ও সরকারের কাছে তাদের অলগারিদম নিবন্ধন করা উল্লেখযোগ্য। এই পরিষেবাগুলো জনগনের মতামতকে প্রভাবিত বা জনগনকে ‘সংহত’ করতে পারে কিনা তা বুঝতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

নীতিমালার সাথে উল্লেখিত এক নথিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র সব শিল্প ও খাতে জেনারেটিভ এআইয়ের উদ্ভাবনমূলক ব্যবহারকে উৎসাহী করে। পাশাপাশি চিপস, সফটওয়্যার, টুলস, কম্পিউটিং পাওয়ার এবং ডাটা সোর্সের ‘নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য’ ক্রমবিকাশেও সমর্থন দেয়া হবে।

চীন তাদের দেশের প্লাটফর্মগুলোকে জেনারেটিভ এআই সম্পর্কিত ‘আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও মান উন্নয়নে’ অংশ নেয়ার প্রতিও আহবান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, জেনারেটিভ এআই বলতে চ্যাটজিপিটির মতো প্লাটফর্মকে বোঝায়। সম্প্রতি এই পরিষেবাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সম্প্রতি চীনের কোম্পানিগুলোও নিজস্ব সংস্করন তৈরিতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। কিছু কিছু সমালোচকরা বলছেন, উদীয়মান প্রযুক্তি নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলতে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নতুন হাওয়া যুক্ত করবে এআই।

এদিকে এআই প্রযুক্তির দ্রুত উত্থানে প্রযুক্তিটির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার নীতিমালা প্রণয়নের চেষ্টা করছে। নীতিমালা প্রকাশ করে এদের মধ্যে চীনই সবচেয়ে এগিয়ে রইল। মার্কিন সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার অবশ্য গত মাসে সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘এ খেলায় চীন অনেক বেশি এগিয়ে।’

চীনের কোম্পানিগুলোও চ্যাটজিপিটি ধরনের প্রযুক্তি আনতে এতোদিন হালনাগাদকৃত নীতিমালার অপেক্ষায় ছিলো। এখন পর্যন্ত বাইদু, আলিবাবা এবং জেড ডট কম কমের তৈরি জেনারিটিভ এআই এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ি তাদের পণ্যগুলোকে অবশ্যই রেগুলেটরদের অনুমোদন পেতে হবে।

সিএনএন/আরএপি



from টেক শহর https://ift.tt/C4JPXyV
Previous Post Next Post