টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: বেশিরভাগ ব্যক্তিই ডেডিকেটেড গ্রাফিকস কার্ড ব্যবহার করতে চায় না। এর পরিবর্তে তারা কম্পিউটার সিপিইউতে আইজিপিইউ ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। তবে গেমিংয়ের জন্য একটি নিবেদিত জিপিইউ খুবই প্রয়োজন। এছাড়া জিপিইউ ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক ডিজাইন এবং এআই প্রকল্পের মতো কাজগুলোকে আরো ত্বরান্বিত করে।
কম্পিউটার গ্রাফিকস কার্ড নিয়ে সবসময়ই অনেক আলোচনা হয়। এর মজুদ স্বল্পতা, দামদর অথবা নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কথাবার্তা চলতে থাকে। তবে মূলত কাদের এই গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিটের (জিপিইউ) প্রয়োজন রয়েছে আর কাদের নেই ইন্টেগ্রাটেড এবং ডেডিকেট জিপিইউর মধ্যে পার্থক্য প্রতিটি কম্পিউটারেই জিপিইউ (গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট) থাকতে হয়। জিপিইউ ছাড়া কম্পিউটারের পর্দায় কোন ছবি দেখা যাবে না। ইন্টেগ্রাটেড জিপিইউ পিসি যুগের শুরুর দিকে কম্পিউটারগুলোর সাথে একটি গ্রাফিকস কার্ড থাকতো। নেটওয়ার্ক সংযোগ, কানেক্টিভিটি, ভিডিও ডিসপ্লে এবং সাউন্ড আউটপুটের মতো কাজগুলো করে থাকে এই গ্রাফিকস কার্ড।
নব্বুইয়ের দশকের মাঝামাঝিতে কিছু ওয়ার্কস্টেশন কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে গ্রাফিকসের সাথে যুক্তকরা হয়। ২০০০ সাল পর্যন্ত মাদারবোর্ড ইন্টেগ্রেটেড গ্রাফিকস ডিজাইন বেশ ভালোভাবেই টিকে ছিল। এরপর ২০১০ সালে ইন্টেলের ক্লার্কসডেল প্রসেসরস এবং ২০১১ সালে এএমডির ল্যানো প্রসেসর আসার পর আইজিপিইউ যুগের সমাপ্তি ঘটে। ইন্টেগ্রেটেড জিপিইউ বেশ ভালো কারণ এগুলো একেবারেই বিনামূল্যে এবং ঝামেলাবিহীনভাবে পাওয়া যায়। এজন্য তেমন কিছুই করতে হবে না একটি কনজিউমার ক্লাস মাদারবোর্ড এবং সিপিইউকে একত্রিত করতে হবে অথবা ডেল বা বেস্ট বাইয়ের মতো রিটেইলারদের থেকে পূর্বেই অ্যাসেম্বল করে রাখা কম্পিউটার কিনতে হবে।
ইন্টেগ্রেটেড গ্রাফিকসগুলো খুব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়। এছাড়া ওয়েব ব্রাউজিং, ইমেইল লেখা, অফিস ও প্রোডাকটিভিটি এবং বেসিক ইমেজ এডিটিংয়ের জন্যও এই আইজিপিইউ বেশ শক্তিশালী। হালকা গেমিংয়ের ক্ষেত্রেও এটি বেশ ভালো কাজে দেয়। যদিও আইজিপিইউ ব্যবহার করে আল্ট্রা সুপ্রিম ফেস মেল্টিংলি রিয়েলিস্টিক সেট করা গ্রাফিকসের সাথে এ শিরোনামের গেমগুলো খেলা যায় না। তবে স্টারডিউ ভ্যালি , হেডস, ডিসকো এলিসিয়াম, সেলেস্টের মতো সর্বাধিক বিক্রিত গেমগুলো অনায়াসেই খেলা যায়। সিপিইউ এর শেয়ার করা সব রিসোর্সই একটি ইন্টেগ্রেটেড জিপিইউ শেয়ার করে থাকে। অর্থাৎ রেন্ডারিং ভিডিও, বর্তমান প্রজন্মের থ্রিডি ভিডিও গেমের মতো ভারী গ্রাফিকস কাজগুলো ইন্টেগ্রেটেড সিস্টেমে ফেলা হলে তা ব্যবহারকারীরর সিস্টেম রিসোর্সের একটি বড় জায়গা দখল করে নিবে।
সবমিলিয়ে বলা যায় আপনি যদি আপনার পছন্দের গেমগুলো খেলতে সমস্যায় না পড়েন অথবা আপনার কাজ ও শখ চালিয়ে নেয়ার মতো তা যথেষ্ট হয় তাহলে অর্থ সাশ্রয়ের সাথে আইজিপিইউয়ের সাথে লেগে থাকাটাই ভালো সিদ্ধান্ত। জিপিইউ স্পেকট্রামের বিপরীতে দাম ও পারফর্মেন্স উভয় দিক থেকেই একটি ডেডিকেটেড জিপিইউ পাওয়া যাবে। নাম থেকেই বোঝা যায় ডেডিকেটেড জিপিইউ মূলত গ্রাফিক প্রসেসিং পরিচালনার জন্য হার্ডওয়্যারের একটি পৃথক অংশ। যখন কাউকে বলতে শুনবেন, ‘আমি আমার কম্পিউটারের জন্য একটি নতুন ভিডিও কার্ড কিনেছি। অথবা সুপার সোলজার সিমুলেটর শ্যুট ৯০০০’ খেলার জন্য আমার একটি গ্রাফিকস কার্ড প্রয়োজন।’ তারা মূলত একটি ডেডিকেটেট গ্রাফিকস কার্ডের কথা বলছে।
ডেডিকেটেড জিপিইউর সবচেয়ে বড় সুবিধা এর পারফর্মেন্স। ডেডিকেটেড গ্রাফিকস কার্ডে একটি সংবেদনশীল কম্পিউটার চিপ রয়েছে যা শুধুমাত্র গ্রাফিকস রেন্ডারিংয়ের জন্যই নকশা করা হয়েছে; শুধু তাই নয় জেনারেল সিস্টেমের র্যামের তুলনায় দ্রুত ও ভালো অপ্টিমাইজের কাজ করার জন্য এখানে একটি ডেডিকেটেড ভিডিও র্যামও রয়েছে। পারফর্মেন্স বৃদ্ধি করা ছাড়াও ডেডিকেডেট জিপিইউ কার্ডগুলো মাদারবোর্ডের চেয়েও ভালো পোর্টের সরবরাহ দেয়। ফলে এটি সহজে একাধিক মনিটরের সাথে সেটআপ করা যায়; এমনকি ভিআর হেডসেটেও প্লাগ ইন করা যায়।
from টেক শহর https://ift.tt/Tah0zgA