ভার্চুয়াল জগতের অসমতা দূর করা প্রয়োজন : মোস্তাফা জব্বার

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ভার্চুয়াল জগতে সম্মানিত ব্যক্তিরা সমালোচিত হন আবার অযোগ্যরা সমাদৃত হচ্ছেন। সাংস্কৃতিক বিকাশের মাধ্যমে এই অসমতা দূর করার প্রয়োজন। ডিজিটাল অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, আইনের অপপ্রয়োগের জন্য আইনকে দোষারোপ করা যায় না।

মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ‌্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘জাহানারা ইমামের আন্দোলন: তরুণদের করণীয় শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের মায়েদের প্রতিনিধি উল্লেখ করে বলেন তিনি গোটা জাতির শ্রদ্ধার পাত্র। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এই দেশের জন্মের জন্য নিদারুণ আত্মত্যাগের একটি নাম।

Techshohor Youtube

মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে এবং তাদের মাঝেও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের তরুণরা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছে। পরাজয়ের ইতিহাস তাদের নেই। তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে যে বাংলাদেশ জন্ম দিয়ে গেছেন আমাদের নতুন প্রজন্মকে সেই বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির প্রেতাত্মারা গুজব, অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বিশেষ করে তরুণ সমাজকেই মোকাবেলা করতে জোরালো প্রচেষ্টা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে বলে বলেন মোস্তাফা জব্বার।

ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণ সমাজের সক্রিয় থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি অশুভ তৎপরতা নিয়ে এগুতে পারবে না ।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ায়র কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে , কথা সাহিত্যিক অধ‌্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, শহিদ সন্তান অধ‌্যাপক ডা: নুজহাত চৌধুরী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী সমাজ কর্মী হাসান আবদুল্লা বিপ্লব ক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহিদ সন্তান আসিফ মুনীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক মারুফ রসুল।

সভাপতির বক্তৃতায় শাহরিয়ার কবির বলেন ‘৩১ বছর আগে শহিদ জননী জাহানারা ইমাম ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের যে নাগরিক আন্দোলনের সূচনা করেছেন বহু ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে তা আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলেও আমাদের আরও দীর্ঘ, কঠিন ও বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করতে হবে।



from টেক শহর https://ift.tt/GcDhpmv
Previous Post Next Post