অপরিচিত খেশ পণ্যকে দেশে বিদেশে পরিচিত করছেন নিগার ফাতেমা

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অপরিচিত এক পণ্য খেশ পণ্য। এই পণ্যকে দেশে বিদেশে মানুষের কাছে পরিচিত করতে কাজ করছেন অনলাইন উদ্যোক্তা নিগার ফাতেমা। তাঁর উদ্যোগের নাম আরিয়া’স কালেকশন ।

তাঁতের শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করে একটু রিস্ক নিলেন নিগার। কাজে নামলেন খেশ পণ্য নিয়ে। তাঁতের শাড়িতে ইনোভেশন করেন। খেশের পাঞ্জাবি, কুর্তি, শাল, কুশন কভার ইত্যাদি আছে আরিয়া’স কালেকশনে।

নিগার জানালেন খেশের আদি ইতিহাস, ১৯২০ সালে শান্তি নিকতনে রবি ঠাকুরের ছাত্র ছাত্রীরা এই খেশ পণ্য বানাতেন । পুরাতন কাপড়কে ফালি করে নতুন কাপড়ের সাথে যুক্ত করা হতো । এইভাবে বিভিন্ন ডিজাইন করে পুরোনো কাপড় দিয়ে নতুন শাড়ির বুননকে বলা হয় খেশ ।

Techshohor Youtube

পড়াশুনা করেছেন ট্রিপল ই থেকে, মাস্টার্স শেষ হবার পর পরই বিয়ে হয়। বিয়ে , জব ইত্যাদি নিয়ে বেশ ভাল ই চলছিল। সন্তান হবার পর তাঁর যত্নের জন্য জব ছেড়ে দেন নিগার। কিন্তু নিজের পরিচয়ের স্বপ্ন মনের ভেতর বসবাস করছিল। জীবনে কিছু করতে চাইতেন নিগার।

ফেইসবুকের উই গ্রুপ খুঁজে পান তিনি। দেখা পান ই ক্যাবের সাবেক সভাপতি রাজীব আহমেদের এবং উনার কাছ থেকে পান সাহস ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা। নিগার বুঝতে পারেন যে ঘরে বসে কিছু কাজ করে তিনি এভাবেই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

খেশ নিয়েই কেন কাজ করছেন ? একদিন ফেইসবুক গ্রুপে রাজীব আহমেদ দেশীয় পণ্য নিয়ে লিখতে আহবান করেন। সকলের সাথে তাল মিলিয়ে তিনিও লিখতে শুরু করলেন। নিগার ফাতেমা মায়ের কাছ থেকে পরিচিত হওয়া খেশ পণ্য নিয়ে লিখেন। সেই ফেইসবুক পোস্ট অনেক পরিচিতি পায় । খেশ কি , কেমন ইত্যাদি নিয়ে মানুষের উৎসাহ , উচ্ছ্বাস থেকেই উদ্দীপ্ত হন নিগার।

নিজের জমানো ৫ হাজার টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলেই কাজ শুরু করেন তিনি। ক্রেতারা অকুন্ঠ সাপোর্ট দিয়েছে। মাত্র ৫টি শাড়ি দিয়ে শুরু করেন। আনন্দের সাথে জানাচ্ছিলেন, অপরিচিত এক নতুন পণ্য নিয়ে কাজ করতে ক্রেতাদের সহযোগিতা ছিল তাঁর মূল অনুপ্রেরণা, তারাই রিস্ক নিতে সাহসী করেছে।

প্রথম সেলের অনুভুতি কেমন ছিল জানতে চাইলে একজন কর্মজীবি মানুষ হিসেবে বিরতির পর নিজেকে আবার কর্মের বৃত্তে নিবদ্ধ করে ভীষণ আনন্দিত ছিলেন বলে জানালেন নিগার।

বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা পূরন হয়েছে ? এমন প্রশ্নে নিগার জানালেন, দু বছরের যাত্রা। অপরিচিত পণ্য নিয়ে এগুতে গিয়ে উনি একা নয় আরও ৫ টা পরিবারকে সাথে নিয়ে তিনি এগুচ্ছেন। কারিগর , তাঁতি , স্টাফ আছে। এই দু বছরের বেশি ধরে কাজ করতে গিয়ে কোভিড ১৯ এর সময় যখন তাঁতিরা কাজ পাচ্ছিলেন না , সেই সময় আমার উদ্যোগ খেশের মাধ্যমে মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ই ছিল তাঁর চাওয়া।

প্রতিযোগিতা কেমন পাচ্ছেন এমন প্রশ্নে জানালেন ভিন্ন রকম কথা, পেমেন্ট সিস্টেম কিংবা ডেলিভারি সিস্টেম নিয়েও জানালেন নিজের অভিজ্ঞতা। ভিডিওতে শুনুন পুরোটা ।



from টেক শহর https://ift.tt/MpG28Oi
Previous Post Next Post