৫ বছরে ৫০ হাজার তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে কাজ করবে হুয়াওয়ে

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর দক্ষিণ এশিয়ায় একটি স্মার্ট ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলবে হুয়াওয়ে। এই জন্যে আগামী পাঁচ বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় ৫০ হাজার তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

আইসিটি একাডেমি সংযোজন, বিভিন্ন আইসিটি এবং স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা, বিশেষ অনলাইন কোর্স, নতুন কর্মচারী নিয়োগ এমন সব পদক্ষেপ এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত থাকবে ।

সোমবার হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান দপ্তর ঢাকায় ‘বিল্ডিং এ স্মার্ট ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম, ইন সাউথ এশিয়া ফর সাউথ এশিয়া’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

Techshohor Youtube

হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইউয়িং কার্ল সোমবার অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন। হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাংবাদিকবৃন্দ এবং হুয়াওয়ে কর্মকর্তাগণ সেসময় উপস্থিত ছিলেন। 

ইউয়িং বলেন, “তিনটি বিষয় হুয়াওয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ – অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও অবকাঠামো সরবরাহ, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, এবং আইসিটি প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করা। হুয়াওয়ে একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ করছে।

তিনি আরও বলেন, “২০২২ সালের শেষ নাগাদ আমরা সারা বিশ্বে ২,২০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্বে হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা প্রতি বছর গড়ে দুই লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকি।”  

সম্প্রতি নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান এবং বাংলাদেশকে নিয়ে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ এশিয়া উপ-অঞ্চল গঠন করেছে। ‘দক্ষিণ এশিয়ায়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য’ এই অনুপ্রেরণায় সকল গ্রাহক, সহযোগী, ইকসিস্টেম এবং সর্বোপরি এই পাঁচটি দেশের জন্য আরও বেশি কাছ থেকে সেবা দেয়ার জন্য এই উপঅঞ্চলটি তৈরি করা হয়েছে। 

হুয়াওয়ে গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় ৬,০০০ জনেরও বেশি তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে কাজ করেছে এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০,০০০ নতুন আইসিটি প্রতিভা বিকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।

‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গত কয়েক বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া, হুয়াওয়ে স্টার্টআপগুলোকে সিড মানি (প্রাথমিক বিনিয়োগ) ও প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেওয়ার জন্য আইসিটি ইনকিউবেটর আয়োজন করে থাকে। আইসিটি খাতের নারীদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে হুয়াওয়ে।

সরকারি টেকনিক্যাল অফিসার, টেলকো অপারেটর, শিক্ষাবিদ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ইকোসিস্টেম পার্টনারদের একত্রিত করে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

হুয়াওয়ে গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। এই একাডেমিতে আইসিটি উদ্ভাবন, ও সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী সফল বিভিন্ন বিসনেস কেস প্রদর্শন করা হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন আইসিটি একাডেমি তৈরি করা হয়েছে। এই একাডেমিগুলোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের পছন্দের প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সার্টিফিকেট অর্জন করার সুযোগ পায়।



Previous Post Next Post