ক্রু ছাড়াই চলবে যে জাহাজ

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: ইয়ারা বার্কল্যান্ড দেখতে অন্যান্য ছোটখাট জাহাজের মতোই। তবে অন্য জাহাজের সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে এটি স্বয়ংক্রিয়। আগামি দুইবছরের মধ্যে জাহাজের সব ক্রুকে বিদায় জানানো হবে এবং জাহাজটি সম্পূর্ণ নিজে নিজে পরিচালিত হবে।

বার্কল্যান্ডের ক্যাপ্টেন ভেন অডিগার্ড এই ৮০মিটার লম্বা জাহাজটি পরিচালনা করেন। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় যেতে আমরা বড় পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। সেখানে অনেক ইনস্টল করা প্রযুক্তি রয়েছে; যা বর্তমান জাহাজগুলোয় নেই।’

রাডার, ক্যামেরাসহ বিভিন্ন সেন্সরের মাধ্যমে ইয়ারা বার্কল্যান্ডকে দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। এই সেন্সরগুলি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে তথ্যগুলো প্রেরণ করবে। এই এআই প্রযুক্তি পানির মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাগুলো শনাক্ত করে।

Techshohor Youtube

ক্যাপ্টেন ভেন আরো বলেছেন, ‘বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়েও আমরা সচেতন রয়েছি। এজন্য জাহাজের পাশে, সামনে এবং স্ট্রেনে ক্যামেরা রয়েছে। সবকিছু দেখেশুনে জাহাজটি তার পথ পরিবর্তন করতে পারবে।’

জাহাজটি পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় হওয়ার পর ক্যাপ্টেন আর এখানে দায়িত্ব পালন করবেন না। মোট ৮০ কিলোমিটার বেশি দূরে একটি দূরবতর্ িঅপারেশন সেন্টার থেকে তিনি কাজ করবেন। যেখান থেকে একই সময়ে একাধিক জাহাজ পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রয়োজনে গতি পরিবর্তনে নির্দেশনা প্রেরণে কোন মানুষকে পাঠানো হবে। জাহাজটির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে নরওয়েভিত্তিক আন্তর্জাতিকমানের প্রযুক্তি কোম্পানি কংসবার্গ গ্রুপ।

ইয়ারা বার্কল্যান্ড মূলত নরওয়ের সার কোম্পানি ইয়ারার জাহাজ। গত কয়েকমাস ধরে ব্রেভিক বন্দরের কাছে পোর্সগ্রানে থাকা কোম্পানিটির কারখানা থেকে সার বহন করে।

ওয়ান সী অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সিনিক্কা হার্টোনেন বলেছেন, ‘যেসব জাহাজ ছোট, নিয়মিত এবং নির্ধারিত রুটে চলাচল করে এগুলোতে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি যোগ করার ভালো সুযোগ রয়েছে।

বিবিসি/আরএপি



Previous Post Next Post