বিশ্বের বৃহত্তম কম্পিউটার চিপ নির্মাণকেন্দ্র তৈরি করছে দক্ষিণ কোরিয়া

কম্পিউটার চিপ নির্মাণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে কারখানা তৈরিতে ২৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মেমোরি চিপ জায়ান্ট স্যামসাং ইলেক্ট্রনিকস। দেশটির সরকার বলছে এটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম ‘চিপ নির্মাণ কেন্দ্র’। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছেন। স্যামসাং ইলেক্ট্রনিকসের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সুক ইয়োল বলেছেন, ‘সিউল মেট্রোপলিটন এলাকায় আমরা বিশ্বের নতুন বৃহত্তম ‘হাই টেক সিস্টেম সেমিকন্ডাক্টর ক্লাস্টার’ নির্মাণ করবো। এতে বেসরকারি খাত থেকে প্রায় ৩০০ ট্রিলিয়ন কোরিয়ান ওন বিনিয়োগ আসবে।’

সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিউল মেট্রোপলিটন অঞ্চলের গিয়োংগি প্রদেশে এই চিপ ক্লাস্টারটি নির্মাণ করা হবে। আগামি ২০ বছরের মধ্যে পরিকল্পিত বিনিয়োগের অর্থ ব্যয় হবে। বিবৃতিটিতে আরো বলা হয়েছে, মেধাসম্পদ সুরক্ষায় দেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি প্রোটেশন অ্যাক্ট সংশোধন করা হবে। অবশ্য এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু উল্লেখ করা হয় নি।


গত বছরের মে মাসে স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয় ব্যবসায় তারা ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করবে। পাশাপাশি ২০২৬ সাল পর্যন্ত কয়েক হাজার কর্মসংস্থান করবে। প্রাথমিকভাবে চিপ নির্মাণ ও বায়োফার্মাসিউটিক্যালসের মতো মূলধারার ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে তারা।

সিএলএসএ বিশেষজ্ঞ সঞ্জীব রানা সিএনএনকে জানিয়েছেন, আগামি দুই দশক স্যামসাংয়ের বিনিয়োগ পরিকল্পনা হিসেবে বছরে ১৫ ট্রিলিয়ন ওন ব্যয় করা হবে।

সম্প্রতি বিশ্বের সেমিকন্ডাক্টরের চরম ঘাটতির অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের অনেক দেশই এখন এ খাতে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে চাইছে। এসব দেশ স্থানীয় চিপ শিল্পকে চাঙ্গা করার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চিপস অ্যাক্ট নামে নতুন আইনের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়। দেশের ভেতরে বিনিয়োগ করবে এমন চিপ নির্মাতাদের হাজার হাজার কোটি ডলার ভর্তুকি দেয়ার প্রস্তাব রয়েছে এতে।

স্যামসাং মূলত তাদের ইলেক্ট্রনিকস শাখার জন্য সুপরিচিত। সাথে এর তৈরি স্মার্টফোন ও টেলিভিশন তো রয়েছেই। সম্প্রতি দেশটি সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা হিসেবেও নাম লিখিয়েছে। মেমোরি চিপ নির্মাণ করে কোম্পানিটি লাভবান হয়েছে। এবার দামি কম্পিউটার চিপ নির্মাণ করে সরাসরি ইন্টেল ও তাইওয়ানের টিএসএমসির মতো কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে স্যামসাং।

Previous Post Next Post