সামাজিক বাধাকে ঠেলে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে, মানুষের সেবায় কাজ করতে মুশফিকা লিনা শুরু করেন নিজের উদ্যোগ লিনা’স ফ্যাশন।
জানালেন পেছনের কথা। ২০ বছর আগে তিন কাজিন মিলে একটা দোকান প্রায় ঠিক করে ফেলছিলেন। তারপর সংসদ সদস্য বাবা দিলেন বাগড়া । বন্ধ হয়ে গেলো প্রথম চেষ্টা । বার বার তিনি চেষ্টা করে যেতে লাগলেন । হাল ছাড়লেন না । ছোট বেলায় করা হাতের কাজের প্রতি মুগ্ধতা জিইয়ে রাখলেন নিজের উদ্যোগে ।
বাড়িতে বসে হাতের কাছে যা আছে টা দিয়ে শুরু করার প্ল্যান নিলেন। করব করব করে জয়পুরহাট থেকে ঠাকুরগাঁও বাবার বাড়ি গিয়ে নারকেলের নাড়ু বানালেন। সব অর্ডার পেলেন ঢাকা থেকে । গোপনে ভীষণ লজ্জায় প্রথম প্রেমের মত অবস্থা। যেন কেউ না জানে , যদি জানতে পারে আবার যদি বন্ধ করে দেয় এমন ভয় ছিল। প্রথম অর্ডার ছিল বিশ্ব জয়ের মত ।
ভাইয়ের সহযোগিতা এবং পরামর্শ ছিল পাথেয় । একের পর এক ধাপ পার হয়ে যেন পথ চলা শুরু করেন সেই জন্য ভাই বোনকে বুদ্ধি বাতলে দিচ্ছিল। প্রোডাক্ট প্রাইসিং নিয়ে বুদ্ধি দিচ্ছিলেন । কি করে এগুলো করবেন বুঝে উঠতে সময় লাগল।
হোম মেইড খাবার তিলের নাড়ু, নারকেল নাড়ু, পিনাট স্লাইড , মাসকলাই ডালের গুড়া এগুলো দিয়ে চলছিল উদ্যোগ।
মাথায় এলো পোশাক ও রাখা যায় । মেয়েদের কোটি , লং এবং শর্ট কোটি নিয়ে কাজ শুরু করলেন মুশফিকা। অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে বাসার নিচে পার্লারে কিছু রাখার ব্যবস্থা করলেন। অফলাইনে এগুনোর গল্প জানালেন আনন্দ নিয়ে ।
ডেলিভারি এবং পেমেন্ট নিয়ে ব্যবস্থা করলেন । খুশি শেয়ার করলেন ভাই , বন্ধুদের সাথে।
স্বপ্ন দেখেন আজ থেকে ৫ বছর পর এখন যা আছেন আরও কয়েক গুণ সামনে যাবেন । এমন করে ভাবছেন মুশফিকা লিনা। স্বামীর সাপোর্ট নিয়ে সন্তান সহ কাজ করছেন মনের আনন্দে । বাবার বাড়ি , শ্বশুর বাড়ির সকলকে ধন্যবাদ জানালেন অকুন্ঠ চিত্তে।