৩ বছর ধরে শারমিন সুলতানা কাজ করেন লেদার বা চামড়াজাত পণ্য নিয়ে । উদ্যোগের নাম রেখেছেন অ্যালরিক স্টাইল, কেন এমন নাম , কি এর অর্থ জানতে চাইলে শারমিন জানালেন এই নামের অর্থ সর্বশ্রেষ্ঠ। আরও জানালেন অনেক সময় অনলাইন উদ্যোগের নামের ডোমেইন পাওয়া যায় না, তাই সবদিক যাচাই করে তবেই এই নাম পছন্দ করেছেন তিনি।
কি কি আছে শারমিনের কাছে ? এমন প্রশ্ন শুনে শারমিন দৃপ্ত কন্ঠে জানালেন, ওয়ালেট , বেল্ট , মেয়েদের পার্স, লেডিস ব্যাগ , কি রিং , কি হোল্ডার।
এমবিএ তে এসাইমেন্ট ছিল উদ্যোগ শুরু করো, নিজে কিছু তৈরি করে দেখাও । শারমিনদের নিজেদের ফ্যাক্টরি আছে । তখন এসাইমেন্ট সম্পন্ন করবার জন্য তিনি নিজে ডিজাইন করে কাজ করতে শুরু করেন। প্রডাক্ট তৈরি করার পর ছবি তুলে ফেইসবুকে দেন । প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী পণ্য তৈরি করে ডেলিভারি দেন। তাই শারমিন বলেন শুন্য থেকেই শুরু।
প্রথম সেল কত টাকার এবং কে ছিলেন , এমন প্রশ্নে শারমিন জানালেন, ১১০০ টাকার প্রথম সেল হয়। বন্ধু চিটাগাং থেকে অর্ডার করে । নিজের কাছের মানুষ এগিয়ে আসায় শারমিন খুব খুশি হন। বিকাশ , নগদে ছাড়াও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেও তিনি আর্থিক লেনদেন করেন।
একই রকম পণ্য নিয়ে অনেকে কাজ করছে, এই প্রতিযোগিতা কিভাবে দেখেন ? প্রতিযোগিতাকে সাধুবাদ জানান শারমিন। তিনি দাম এবং ডেলিভারি সেবার মাধ্যমে নিজেকে ব্যতিক্রম করতে কাজ করেন। পণ্যের মানের দিকে তিনি আপোষহীন। গপ্পে গপ্পে জানালেন ভোগান্তির কথা ।
পণ্য কাস্টমাইজ করে দিতেন প্রথম দিকে , এখন একটু সময় নিয়ে অর্ডার গ্রহন করেন । সাইজ , কালার , বেল্ট , চেইন ইত্যাদিতে পরিবর্তন করে দেন অ্যালরিক স্টাইলের শারমিন ।
টার্গেট কাস্টমার কারা ? এমন প্রশ্নে জানালেন নারী পুরুষ সকলেই টার্গেট কাস্টমার। লেডিস এবং জেন্টস ওয়ালেট , পার্স ,বেল্ট এগুলো অনেকেই উপহার হিসেবে একে অপরকে দিচ্ছেন। শারমিন জানালেন, ফেইসবুকে এখনো তিনি বুস্ট করেন নি । তিনি উই গ্রুপের মাধ্যমে কাজ করেন। বর্তমানে ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করছেন, ওটা ফাইনাল হয়ে গেলে তিনি বুস্ট করবেন । ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানালেন, রেসপন্স ভাল হলে অফিস নেবেন শারমিন । বিস্তারিত দেখুন ভিডিও তে।