প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দিতে পারল না গ্রামীণফোন

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : শেয়ারবাজারে আসার পর প্রথমবারের মতো বিনিয়োগকারীদের অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দিতে পারল না গ্রামীণফোন।

২০০৯ সালে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার বা পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হয় গ্রামীণফোন। এরপর হতে এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।

গ্রামীণফোনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার বলছেন, ‘বিরোধ নিষ্পত্তি ও বিটিআরসির সঙ্গে ধারাবাহিক গঠনমূলক আলোচনা ও সংলাপের অনিশ্চিত ফলাফলের কারণে গ্রামীণফোন অন্তর্বর্তী কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।’

Techshohor Youtube

তিনি জানান, ‘বিরোধ নিষ্পত্তিতে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা পরিশোধ নগদ অর্থের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের উপর চাপ তৈরি হয়েছে। কারণ নিয়মিত পেমেন্ট পরিশোধের বাইরে এ অর্থ তাদের পরিশোধ করতে হয়েছে।’

অপারেটরটির এই বিরোধ ছিলো, বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ-ট্যাক্স) এবং টুজি লাইসেন্স নবায়নের ভ্যাট ও তরঙ্গ ফি নিয়ে। উল্লেখিত টাকার একটি অংশ পরিশোধ করে ২০০৭-২০০৮ হতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছর আয়কর বিরোধ নিস্পত্তি করেছে তারা। আর আরেকটি অংশ দিয়েছে টুজি লাইসেন্স ইস্যুর ভ্যাট ও ফি খাতে।

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইবিআইটিডিএ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিগুণ। পাশাপাশি, ৬১ দশমিক ১ শতাংশ ইবিআইটিডিএ মার্জিনও ধরে রেখেছে তারা।

২৫ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিন নিয়ে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে কর পরবর্তী গ্রামীণফোনের মোট লাভ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭৩.৫ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে অপারেটরটি ১১ দশমিক ৩৯ লাখ নতুন গ্রাহক পেয়েছে। এতে অপারেটরটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৩ লাখ। অপারেটরটির মোট গ্রাহকের ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ বা ৪ কোটি ৬১ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করেন।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান জানিয়েছেন, ‘বিরোধ নিষ্পত্তি এবং গঠনমূলক সংলাপ ও আলোচনার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ ও স্পেকট্রাম স্থাপনে গুরুত্বারোপ করে ডিজিটালকেন্দ্রিক উদ্ভাবন ও সেবার মাধ্যমে তারা গ্রাহকদের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করছেন।



from টেক শহর https://ift.tt/yWOXjqi
Previous Post Next Post