কট টক পওন চয় বললকক বটআরসর চঠ

আল-আমীন দেওয়ান :  অডিট আপত্তির ৮২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা পাওনা চেয়ে বাংলালিংককে চিঠি পাঠিয়েছে বিটিআরসি।

অপারেটরটিকে ১০ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। বিপরীতে বাংলালিংক বিটিআরসির কাছে আরও দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে।

৮২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা অডিট আপত্তির দাবি নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিটিআরসি গ্রহণ করে ২০২৩ সালের ১৮ মে । এরপর ফাইন্যান্স ডিভিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে। শেষে ২৬ জুন বাংলালিংককে পাওনা দাবি চেয়ে চিঠি পাঠায় বিটিআরসি।

Techshohor Youtube

বাংলালিংকের কাছে বিটিআরসির এই অডিট আপত্তির মধ্যে ৪৩০ কোটি টাকা বিলম্ব ফি, ২৩৪ কোটি টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স ও বিভিন্ন ফি এবং ১৫৯ কোটি টাকার মতো রয়েছে রেভিউনিউ শেয়ারিং, হ্যান্ডসেট রয়্যালিটি, অ্যাকসেস ফ্রিকোয়েন্সি পেইমেন্ট, মাইক্রোওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি পেইমেন্ট এবং লাইসেন্স ফিসহ বিভিন্ন পাওনা। আর এই অডিট ১৯৯৬ সাল হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।

পাওনা দাবির টাকা চেয়ে বাংলালিংককে চিঠি দেয়ার বিষয়টি টেকশহর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার ।

বাংলালিংক সময় চেয়ে আবেদন করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আজ (বুধবার) তাদের আবেদন পেয়েছি। সময় দেয়া হবে কিনা তা টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ফাইন্যান্স ডিভিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান টেকশহর ডটকমকে জানান, ‘তারা অডিট আপত্তির পাওনা দাবিতে বিটিআরসির চিঠি পেয়েছেন। এ বিষয়ে আরও সময়ের আবেদন করা হয়েছে।’

অডিটের শুরু হতে শেষ :

অডিটর নিয়োগের পর ১ বছর ৯ মাস লেগেছে এই অডিট করা এবং প্রতিবেদন চুড়ান্ত করতে। মেসার্স মসিহ মুহিত হক অ্যান্ড কোং এবং এএনবি সলিউশনস এর জয়েন্ট ভেঞ্চার বাংলালিংকের অডিট করেছে।

অডিটর নিয়োগের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছিলো ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট। বিটিআরসির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এই অডিট শেষ করার কথা ছিলো ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। এরপর চার দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ঠেকে।

বাংলালিংকের এই অডিট করতে মসিহ মুহিত হক এন্ড কোম্পানিকে ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে বিটিআরসিকে।

কোম্পানিটি ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রথম ইনসেপশন প্রতিবেদন দেয়, এরপর এটির সংশোধিত প্রতিবেদন আসে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর। প্রথম প্রগ্রেস প্রতিবেদন দেয় ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর যার সংশোধিত প্রতিবেদন আসে ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি।

দ্বিতীয় প্রগ্রেস প্রতিবেদন দেয় ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় প্রগ্রেস প্রতিবেদন ২৭ মার্চ, চতুর্থ প্রতিবেদন ২০ জুন, পঞ্চম ২৯ সেপ্টেম্বর। এরপর ড্রাফট রিপোর্ট আসে ৬ অক্টোবর, যার তিনটি সংশোধন প্রতিবেদন দেয়া হয় যথাক্রমে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি, ১০ জানুয়ারি এবং ১৭ জানুয়ারি।

এরপর ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি চুড়ান্ত খসড়া রিপোর্টে চুড়ান্ত মতামতের জন্য বাংলালিংকের কাছে অডিটের বিস্তারিত পাঠানো হয়। বাংলালিংক মতামতের জন্য বাড়তি সময় চায় এবং বাড়তি সময়ের শেষ দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি মতামত দাখিল করে। এরপর আরও একটি মতামত দেয় অপারেটরটি। পরে এসব মতামত নিয়ে ১৩ মার্চ অডিট কোম্পানি বিস্তারিত পর্যালোচনা জানায় বিটিআরসিকে। বিটিআরসি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা সভা শেষে ১১ এপ্রিল অডিটর-বাংলালিংকসহ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে চুড়ান্ত খসড়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করে।

বিটিআরসি অডিটরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, অডিটর-বাংলালিংকসহ ত্রিপক্ষীয় এবং অভ্যন্তরীণ সবমিলে ২৮ টি বৈঠক করেছে।



from টেক শহর https://ift.tt/XqNxO3F
Previous Post Next Post