‘ডিজিটাল বিভাজন কমাতে ই-কোয়ালিটি ডাটার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে’

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ‘সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন: লেভারেজিং ইনোভেশন অ্যান্ড কাটিং এজ টেকনোলজি’ এই শিরোনামে শনিবার বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এই অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য দেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তি সমাধানের মাধ্যমে কীভাবে দক্ষিণের দেশগুলোতে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা ও সমাধান বের করে আনা ছিল আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

Techshohor Youtube

ইভেন্টের মাধ্যমে দক্ষিণের দেশগুলোতে প্রযুক্তি ব্যবহারে টেকসই উন্নয়নে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এই দেশগুলোতে অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়নে প্রযুক্তিখাতে কোন কোন পর্যায়ে সমস্যার মুখে রয়েছে এবং সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজ, একাডেমিয়া এবং বেসরকারি খাতের বিজ্ঞজনরা সক্রিয়ভাবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

‘ই-কোয়ালিটি ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’এর উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসপায়ার টু ইনোভেট- এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী। তিনি বলেন,ই-কোয়ালিটি ডাটার ব্যবহারের মাধ্যমেই ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ডিজিটাল বিভাজন কমাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল নীতি প্রণয়ন এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে উন্নত সেবা প্রদানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করা সম্ভব হবে।’’

ই-কোয়ালিটি ডাটার ব্যবহার নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘‘ডিজিটাল বিপ্লবের সাথে সাথে আজকের বিশ্বে ডিজিটাল বিভাজন সমাজে বৈষম্য তৈরিতে একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। তবে, সঠিকভাবে পরিচালনা করা হলে ই-কোয়ালিটি নিশ্চিতে ডিজিটাল উন্নয়ন সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠাকে কীভাবে আরো কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির আওতায় নিয়ে আসা যায় সে বিষয়টি তুলে ধরেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের শ্রীলঙ্কার স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ক জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির ২১তম অধিবেশনের সভাপতি মোহন পিয়েরিস, এইচ.ই.।

জাতিসংঘ অফিসের সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের পরিচালক মিসেস দিমা আল খাতিব বলেন, ‘‘পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এসেছে। একটি বৈষম্যহীন ডিজিটাল রাষ্ট্র নির্মাণ ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রস্তাবিত উদ্যোগগুলো যাতে বাস্তবায়ন হয় সেক্ষেত্রে সার্বিক দিক-নির্দেশনা ও সহযোগিতার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ জাতিসংঘ।’’

আন্তঃদেশীয় মধ্যস্থতার ওপর ভিত্তি করে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি-নির্ভর উৎকৃষ্ট চর্চাগুলো ছড়িয়ে দিতে আন্তর্জাতিক আইসিটি উদ্ভাবন (আই-থ্রি) -এর মধ্য দিয়ে এখন আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিনের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

জাতিসংঘের এই বৈশ্বিক ইভেন্টে অংশ নেওয়া প্রধান প্রধান স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান এবং দেশগুলো ডিজিটাল বিভাজনের দূরীকরণের ধারণাটিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরামর্শক ও উপদেষ্টা গ্রুপের অন্তর্ভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব তৈরিসহ সাউথ-সাউথ আউটরীচ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য প্রস্তাবিত সমাধান নিয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার বিষয়ে সুপারিশ করেন বক্তারা।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের মিশনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি খাত সংশ্লিষ্ট, একাডেমিয়া, সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন, এটুআই এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনলাইন-অফলাইনে যুক্ত ছিলেন।



from টেক শহর https://ift.tt/m9e0FJX
Previous Post Next Post