স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করবে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করতে চায় সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের নতুন কমিটি।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিটিও ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকার। মহাসচিব আরফে এলাহি মানিক, ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. সেলিম; যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, মো আসিফ, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ মুসা, কার্য নির্বাহী সদস্য সুপর্ণা রায়, নাহিদা আক্তার ও মোঃ ফজলে মুনিম বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্য পর্বে দেশের স্মার্ট যাত্রায় পেশাদারদের সিটিওদের উপেক্ষিত হওয়ার সুর ছিলো নতুন কমিটির সদস্যদের কণ্ঠে। তবে এতে দমে না গিয়ে নতুন করে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নে সমস্যার সমাধানে সম্মিলিত প্রয়াসের সংগঠনের পক্ষ থেকে আহ্বানের কথা বলেন সিটিও ফোরাম মহাসচিব আরফে এলাহি মানিক।

Techshohor Youtube

স্বাগত বক্তব্যে মোঃ আরফে এলাহী মানিক বলেন, আমরা ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক পরিষেবা নিয়ে আইসিটি বিভাগ, বেসিস, এটুআই, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, এমওপিটি, বিটিআরসি এবং অন্যান্য অনেক সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের সাথে কাজ করছি ।

সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যেখানে জনশক্তিই হবে স্মার্ট। সবাই অনলাইনে সব করতে শিখবে। অর্থনীতি হবে ই-অর্থনীতি, যেখানে সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল ডিভাইসেকরা হবে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান’ সবই হবে ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে। ই-শিক্ষা এবং ই-স্বাস্থ্যসহ সবটাতে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হবে।

তিনি আরও বলেন,আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে এটি করতে সক্ষম হব এবং তা মাথায় রেখে কাজ চলছে। তরুণ সমাজ যত বেশি এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ব্যবহার করতে শিখবে, তত দ্রুত তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বিভিন্ন বিষয়ে তরুণদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ও কাজে দক্ষতা উন্নয়নে সিটিও ফোরামের পেশাদার কর্মীরা কাজ করবে বলে জানান।

ফোরামের সহ-সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সেলিম বলেন, যে কোনো পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনা বা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরবির্তনের শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে ওঠে তখনই, যখন তাতে সন্নিবেশিত হয় লক্ষ্যনির্ভর সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়নযোগ্য কর্মসূচি। আমাদের সামনে এর উজ্জ্বলতম উদাহরণ ডিজিটাল বাংলাদেশ।

যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, প্রফেসর ড. দীপ নন্দী বলেন, এই ফোরামটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে পেশাদার নেটওয়ার্ক হিসাবে রয়েছে।CTO ফোরাম বিশ্বব্যাপী অনেক ICT community  সাথে সংযুক্ত, তাই আমরা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি স্থানীয়করণে আমাদের দেশকে সাহায্য করতে পারি । চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন বিষয়ে তরুণদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে।

যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো আসিফ বলেন, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ বাংলাদেশের আইসিটি লিডারদের একটি অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক পেশাদার ফোরাম। এই ফোরাম জাতীয় পর্যায়ে আইসিটি সেক্টরে সরকার ও জনগনকে নেতাদের সাহায্য করার জন্য একটি সহযোগী শক্তি হিসাবে কাজ করছে। এর লক্ষ্য সরকারি ও বেসরকারি খাতকে নলেজ ব্যাংকের মাধ্যমে সহায়তা করা যা ফোরামের ৪০০ জন সদস্য দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।

ফোরামের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ মুসা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় প্রায় ৩০০০ ডলার। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন দুটিই উন্নয়নের মাইলফলক।

ফোরামের কার্যকরী সদস্য সুপর্ণা রায় বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যেখানে জনশক্তিই হবে স্মার্ট।



from টেক শহর https://ift.tt/3Xv1zHW
Previous Post Next Post