টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ‘গডফাদারদের’ একজন অধ্যাপক ইয়োশুয়া বেঙ্গিও বলেছেন এ প্রযুক্তির এতো দ্রুত বিকাশ হবে বুঝতে পারলে অবশ্যই এর উপযোগিতার চেয়ে নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হতো। তিনি জীবনের এ কাজের জন্য ‘হার’ অনুভব করছেন।
এআইয়ের কারণে মানবতার বিলুপ্তি ঘটতে পারে সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা সতর্কবার্তা দেয়ার পর কম্পিউটার বিজ্ঞানী বেঙ্গিও এমন মন্তব্য করলেন। এআইয়ের তিনজন ‘গডফাদারের’ মধ্যে দ্বিতীয় বেঙ্গিও; তিনি এআই নিয়ে কাজ করার জন্য খুবই সুপরিচিত। এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও তিনি নিজেই এখন এআই পরিচালনা এবং যে গতিতে তা বিকাশ হচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এআই মূলত খুব জটিল কাজগুলো করতে কম্পিউটারের একধরনের সক্ষমতা। এআই আসার আগে এই কাজগুলো সম্পন্ন করতে মানুষের বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন ছিলো। অতিসম্প্রতি চ্যাটজিপিটি নামে এআই পরিচালিত একটি চ্যাটবট উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই চ্যাটবট মানুষের মতো করেই যেকোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
এআইয়ের এই দ্রুত বিকাশ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) রীতিমতো আইন করতে যাচ্ছে। ইইউর টেকনোলজি প্রধান মার্গেটে ভেস্তেগের বলেছেন, ‘আগামি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে’ এআই নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী আচরনবিধি তৈরি হবে। ’ অনেকে আশঙ্কা করছেন এআইয়ের উন্নত গণনা সক্ষমতাকে ক্ষতিকর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে। যেমন- নতুন রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরিতে এআই ব্যবহৃত হতে পারে।
অধ্যাপক বেঙ্গিও বিবিসিকে বলেছেন, এআই আরো সংবেদনশীল ও শক্তিশালী হয়ে উঠার কারণে ‘দুষ্কৃতকারীরা’ এআইয়ে দখল নিতে পারে। তিনি আরো বলেন, ‘এটি সামরিক, কোন সন্ত্রাসী, খুব রাগান্বিত কেউ অথবা মানসিকভাবে অসুস্থদের হাতে চলে যেতে পারে। তাই এআই সিস্টেম যদি এতোটাই সহজ হয় যে একে যেকোন বাজে কাজ করার নির্দেশ দেয়া যাবে তাহলে বিষয়টি খুবই বিপদজনক। তারা যদি আমাদের চেয়েও স্মার্ট হয় তাহলে এই সিস্টেম বন্ধ অথবা ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ করা আমাদের জন্য কঠিন হবে।’ বেঙ্গিও স্বীকার করেছেন এই উদ্বেগগুলো তাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রভাবিত করছে। তার জীবনের কাজ যা তাকে এই পর্যায়ের পরিচিতি এনে দিয়েছে তার প্রভাব এমন হবে সেসম্পর্কে পরিস্কার ছিলেন না। এআই নিয়ে যারা কাজ করেছেন তাদের জন্য এটি খুবই চ্যালেঞ্জিং।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা বলতে পারেন আমি হার অনুভব করছি। কিন্তু এরপরেও আপনাকে চালিয়ে যেতে হবে, আলোচনা করতে হবে এবং আপনি যেভাবে চিন্তা করছেন তার সাথে অন্যকেউ যোগ দিতে উৎসাহি করতে হবে।’
বিবিসি/আরএপি
from টেক শহর https://ift.tt/bXZQ4Ty