‘অন্যায্য করে’ অর্ধেক লাভ হারানোর অনুযোগ রবি সিইওর

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : গ্রাহক সংখ্যায় দেশের দ্বিতীয় মোবাইল ফোন অপারেটর রবি বছরের প্রথম তিন মাসে ৪২ কোটি টাকা লাভ করেছে।

বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী অপারেটরটির গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার। যেখানে তাদের চেয়ে ২ কোটি ৪৭ লাখ গ্রাহকে এগিয়ে থাকা গ্রামীণফোনের একই সময়ে লাভ ৭৭৯ দশমিক ৭ কোটি টাকা। গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ৩ লাখ।

মাত্র ৪২ কোটি টাকা লাভ নিয়ে রবির সিইও রাজীব শেঠির অনুযোগ তারা ২ শতাংশ কর্পোরেট করের কারণে আরও ৪২ কোটি টাকারও বেশি লাভ হারিয়েছেন।

Techshohor Youtube

অপারেটরটির সিইও বলছেন, নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা কিছু বিষয়ের কারণে পিএটিতে (প্রফিট আফটার ট্যাক্স) তাদের অগ্রগতির সঠিক প্রতিফলন ঘটছে না। বিশেষ করে ২ শতাংশ ন্যূনতম কর্পোরেট করের প্রভাবে রবির চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে পিএটি অর্ধেকের বেশি কমে গেছে।

‘এই অন্যায্য করের কারণে আমাদের পিএটি ৮৯ দশমিক ২ কোটি টাকার পরিবর্তে হয়েছে ৪২ কোটি টাকা। এছাড়া ৭৬ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারজনিত লোকসান রবির সাফল্যে বাঁধা হিসেবে কাজ করেছে’ বলেন তিনি।

রাজীব শেঠি রবির ওপর হতে করের বোঝা কমানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে আসন্ন বাজেটে এই খাত থেকে ২ শতাংশ ন্যূনতম কর্পোরেট কর অপসারণের অনুরোধ জানান।

রবি জানায়, ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে তাদের মোট আয় ৪ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৩৪৭ দশমিক ৭ কোটি টাকা হয়েছে। এটি ২০২২ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ভয়েস সেবা থেকে তাদের আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে ডাটা সেবায় ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অপারেটরটির আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২২ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় ডাটা গ্রাহক সংখ্যা ২ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ২১ লাখে পৌঁছেছে। গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ডাটা গ্রাহক সংখ্যা ৬ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে রবির ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৮ লাখে পৌঁছেছে যা ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।

২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে ইবিএআটিডিএ ছিল (৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ মার্জিনসহ) ১ হাজার ৫১ দশমিক ৬ কোটি টাকা যা ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ইবিএআটিডিএ ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দশমিক ০৮ টাকা।

২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১ হাজার ১০৩ দশমিক ৮ কোটি টাকা জমা দিয়েছে রবি যা ওই প্রান্তিকের মোট আয়ের ৪৭ শতাংশ। একই প্রান্তিকে কোম্পানিটির মূলধনী বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২১৫ দশমিক ৯ কোটি টাকা।



from টেক শহর https://ift.tt/wSWM9Fl
Previous Post Next Post