টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : স্বাধীনভাবে কাজ করে নিজের আনন্দ খুঁজে পেতেই শুরু হয় কালিন্দির যাত্রা । কালিন্দির স্বত্বাধিকারী মুনিয়া জামান।
মধুমতি নদীর পাড়ে বড়ো হওয়া মুনিয়া আপাদমস্তক প্রকৃতি প্রেমি। নিজের উদ্যোগের নাম কি দেবেন সেই নিয়ে ভেবেছেন আপন মনেই। তাই কালিন্দির নামকরণ নিয়ে মুনিয়ার কাছে প্রশ্ন করতেই তিনি জানালেন, কালিন্দি একটি নদীর নাম। বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। পাটের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে বিশ্ব চেনে আর যেহেতু তিনি পাট পণ্য নিয়ে কাজ করবেন তখন তিনি নদীর নামকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর এমন চমৎকার সুত্র আপ্লুত করবার মতো নিঃসন্দেহে।
ব্যাগের নামও তিনি নদীর নাম রাখছেন। কখনো শীতলক্ষ্যা ,কখনো চিত্রা বা গোমতি। পাটের ব্যাগে একটু বৈচিত্র্য আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে । অফিস ব্যাগ , ল্যাপটপ ব্যাগ এগুলোতে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়া কি করে আধুনিকতা এনে ক্রেতার মনের তুষ্টি পাওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন মুনিয়া।
শান্ত নদীর মত কথা বলছিলেন মুনিয়া, কন্ঠের দৃঢ়তা ছিল অনন্য । কথায় কথায় বলছিলেন, আমরা । জানতে চাওয়া হল, এই আমরার রহস্য । মিষ্টি হেসে জানালেন , আমাদের নিজেদের ফ্যাক্টরি আছে , ডিজাইনার আছে , আমরা তো একা একা কিছুই করতে পারি না। সকলে মিলেই আমরা। একটা প্রতিষ্ঠান কখনো আমি না, আমরা।
কেন এবং কখন উদ্যোক্তা হবেন এমন ভেবেছেন ? চাকরি করতে করতে মনের আনন্দ পাচ্ছিলেন না। নিজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলেন। নিজের জন্য সময় পাচ্ছিলেন না । চাকরি ছেড়ে হসপিটাল রিলেটেড কিছু করা যায় কিনা ভেবেছেন । অনেক কিছু ভেবে চিন্তা করতে করতে অবশেষে পাটে এসে থিতু হলেন।
পাটের প্রতি কি আগে থেকেই আবেগ ছিল? মুনিয়া জানালেন, হ্যা, কিছুটা তো ছিল ই। তাছাড়া আড়ং এ ব্যাগ কিনতে গেলেই পাটের ব্যাগ হাতে নিতেন , বন্ধুর কারখানা ছিল । এইসব মিলে ভাবলাম দেখি না কি হয় ! কেমন সাড়া ফেলে দেখি এমন আগ্রহ ভর করে মুনিয়ার মাথায়।
প্রতিযোগি কেমন পাচ্ছেন ? মুনিয়া জানালেন, তার কোন প্রতিযোগি নাই। আমার ব্যাগের কাস্টমার আলাদা । অন্য যারা পাট নিয়ে কাজ করছেন তাদের কাস্টমার আলাদা। বৈচিত্র্য থাকে পণ্যে এবং ক্রেতাদের মাঝে।
পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে মুনিয়া নিজেই খুশি কাজ করে। চাকরি করবার সময়ও মন দিয়ে কাজ করেছেন, এখন মন দিয়ে আনন্দের সাথে কাজ করছেন। সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে যেতে ক্রেতাদের অভিযোগ , সমস্যার সমাধান করা, ডিজাইনের ক্ষেত্রে নতুন কি যুক্ত করা যায়, পণ্যের কোয়ালিটি ম্যানেজ করে কম দামে নিত্য দিনের সংগী হোক কালিন্দি এই আকাঙ্ক্ষায় চলছেন মুনিয়া জামান। পুরো গল্প শুনুন ভিডিওতে।
from টেক শহর https://ift.tt/sGyCi46