টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর হুয়াওয়ে- এর অত্যাধুনিক ডিজিটাল ফাইন্যান্স সলিউশনের মাধ্যমে বিকাশের সেবা প্রদানে আরো গতিশীলতা আনতে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে।
গত ২৯ মার্চ ২০২৩, বুধবার, রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে এই স্বাক্ষর করেছেন প্যান জুনফেং, প্রেসিডেন্ট, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিজিয়ন, সিইও, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ এবং কামাল কাদীর, প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, বিকাশ।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সাথে সঙ্গতি রেখে সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করবে।
স্মার্ট ফিনটেক: ইনক্লুসিভ. ইনোভেটিভ. ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর।
কামাল কাদীর বলেন, “২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিকাশ সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিকাশ ও হুয়াওয়ের যৌথ প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা।”
প্যান জুনফেং, প্রেসিডেন্ট, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিজিয়ন এবং সিইও, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ বলেন, “বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করাই হলো হুয়াওয়ে এবং বিকাশের মধ্যে এই সমঝোতার অন্যতম লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশের আরও বেশি মানুষকে ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির সুবিধা গ্রহণ করার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে আমাদের এই সহযোগিতা আরও জোরদার করবো।”
ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী প্রতিনিধি সরদার এম আসাদুজ্জামান তার বক্তব্যে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) অবদান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ‘স্মার্ট ফিনটেক, অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবনী এবং অনুপ্রেরণা’ এই ধরনের ধারণা। আমাদের প্রেক্ষাপটে এই শব্দগুলোর গুরুত্ব অনেক। আমি মনে করি, হুয়াওয়ে এবং বিকাশ উভয়েই বিষয়টি উপলব্ধি করে এর বাস্তবায়নে কাজ করছে।
ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ সুজান ভাইজ বলেন, “এসডিজি আমার কাছে একটি ভিশন। এসডিজি হলো সেই গন্তব্য যেখানে আমরা ২০৩০-এ পৌঁছাতে চাই এবং এক্ষেত্রে আমরা সঠিক পথেই আছি। আমি মনে করি যে, স্মার্ট ফিনটেক সেই গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য একটি কার্যকরী মাধ্যম।”
ফিনটেক পণ্যের বিকাশের পর থেকে হুয়াওয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার ৩০টিরও বেশি দেশে এর নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করেছে। হুয়াওয়ের ফিনটেক সেবা বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছে।