টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: চীন জানিয়েছে তারা জোরপূর্বকভাবে টিকটক বিক্রির যে কোন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ‘তীব্র বিরোধীতা’ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার চীনা কোম্পানি বাইটডান্সের মালিকানাধিন এই জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মের শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার দাবি করেছে, অন্যথায় এটিকে নিষিদ্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের এমন দাবির প্রেক্ষিতে চীনের পক্ষ থেকে এই প্রথম কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হল।
টিকটকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর ব্যক্তি গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও দেশকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ চীন সরকারের সাথে টিকটক কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের সব ব্যক্তিগত তথ্য দেশের সরকারের কাছে পাচার করে । বেইজিং সরকারের সাথে টিকটকের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি মার্কিন আইনপ্রনেতাদের কঠিন জেরার মুখে পড়তে হয় টিকটক সিইও শাও জি চিউকে।
এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় চীনের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করলো। বানিজ্য মন্ত্রনালয় জানিয়েছে টিকটক বিক্রি করতে বাধ্য করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা ‘ভয়াবহরকম ক্ষতিগ্রস্ত’ হবে।
চীনা বাণিজ্যমন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র শো জুয়েটিং বলেছেন, ‘যদি সংবাদটি ( জোরপূর্বক বিক্রি) সত্যি হয়, চীন এর তীব্র বিরোধিতা করবে। এছাড়া সম্ভাব্য যেকোন চুক্তির জন্য চীন সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। টিকটকের বিক্রি অথবা এর বিভাজন প্রযুক্তি রফতানির সাথে জড়িত। প্রশাসনিক লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়াটি অবশ্যই চীনের আইন এবং নীতিমালা অনুযায়ি হতে হবে। চীন সরকার আইনঅনুযায়ি সিদ্ধান্ত নেবে।
এরআগে বেইজিং সম্ভাব্য জোরপূর্বক বিক্রির বিষয়টি খুব একটা গুরুতত্বের সাথে দেখে নি। যদিও ২০২০ সালের শুরুর দিকে দেশটির পক্ষ থেকে চীনের প্রযুক্তি সুরক্ষার জন্য রিকমেন্ডেশন অলগারিদম যোগ করার আভাস দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে প্রথম শুনানীতে টিকটক সিইও সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন এবং টিকটক ও এর মূল প্রতিষ্ঠান নিয়ে আইনপ্রনেতাদের উদ্বেগ প্রশমিত করার চেষ্টা করেন। পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় ধরে জেরার পর মার্কিন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও চীনের সঙ্গে কোম্পানিটির সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রশমনে টিকটকের প্রচেষ্টা সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় মূল কোম্পানি থেকে টিকটক পৃথক না হলে ওয়াশিংটন একে নিষিদ্ধ করার দিকে এগুতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিএনএন/আরএপি
from টেক শহর https://ift.tt/fJtqFCo