টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : আগামী ৫ বছর উপবৃত্তির টাকা বিতরণ হবে নগদে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় উপবৃত্তি বিতরণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ডাক অধিদপ্তর, নগদ এর সাথে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এর উপস্থিতিতে বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজোয়ান আহমেদ, ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক ছালেহ আহমেদ এবং নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে শিক্ষার ভিত্তি। গুণগত মানের শিক্ষার এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। প্রাথমিক শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রা শুরু হয়েছে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের সহায়তার অংশ হিসেবে বিটিআরসি‘র এসওএফ থেকে দেশের সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য অঞ্চলের ২৮টি পাড়াকেন্দ্র ডিজিটাইজ করার যাত্রা আমরা শুরু করেছি। ডিজিটাইজের এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: আবু হেনা মোরশেদ জামান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহম্মাদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: হারুনুর রশীদ এবং নগদ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির এ মিশুক।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মায়েদের হাতে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগকে একটি অসাধারণ কাজ উল্লেখ করে বলেন, এটি মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদের জন্য একটি ঐতিহাসিক কাজ। তিনি ত্রুটিহীনভাবে এই উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নগদকে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী উপবৃত্তির টাকা পেতে কোন অভিভাবক যাতে প্রতারিত না হয় এই বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতনতা তৈরির গুরুত্বারোপ করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে আমরা মায়েদের হাতে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দিচ্ছি। উপবৃত্তির টাকা সরাসরি মায়েদের হাতে পৌঁছে দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রগতি হয়েছে।
চুক্তি থেকে জানা যায়, প্রতি অর্থবছরে ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটি-এর মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করছে। এতে পরিচালন বাজেটে প্রতি অর্থবছর প্রায় ২০০০ কোটি বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের জন্য আজ ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি সম্পাদিত হলো।
আরও পড়ুন
নগদ বিকাশ রকেটের মতো সেবায় আন্তলেনদেন চালুর তাগিদ
জিপির সব গ্রাহক নগদে, পিন সেটেই অ্যাকাউন্ট
ভাতা বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করছে এমএফএস : জব্বার
from টেক শহর https://ift.tt/wz8b5St