গ্রামীণফোন গ্রাহকেরা মোবাইল ব্যালেন্স ব্যবহার করে ৩২টি সরকারি সেবার বিল পরিশোধ করতে পারবে।
এই সম্পর্কিত একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে গ্রামীণফোন এবং এটুআই।
এ পার্টনারশিপের ফলে বিভিন্ন সরকারি সেবার পেমেন্ট ‘ডিরেক্ট অপারেটর বিলিং (ডিওবি)’ এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
এ উপলক্ষে গ্রামীণফোন ও এটুআই -এর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এটুআই অফিসে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রহণ করা যায় এমন সেবা এবং ইউটিলিটি বিলসহ বিভিন্ন ধরনের সেবার বিল পরিশোধের সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি ডিরেক্ট অপারেটর বিলিং (ডিওবি)
এ পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইল গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ব্যালেন্স ব্যবহার করে কয়েকটি সহজ ধাপের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এর ফলে, এখন সরকারি সেবা গ্রহণ করা যাবে আরও সহজে ও ঝামেলা ছাড়াই—গ্রাহকরা ব্যাংকে না গিয়ে সহজেই পেমেন্ট পরিশোধ করতে পারবেন।
এ উদ্যোগ গ্রামীণফোনের গ্রাহক, বিশেষ করে যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করেন এবং আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা খাত থেকে বঞ্চিত, তাদের জন্য দ্রুত, সুরক্ষিত ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক সেবা নিশ্চিত করবে। এক্ষেত্রে, বিল পরিশোধে গ্রাহকদের প্রত্যয়ন.জিওভি.বিডি পোর্টালের একপে পেমেন্ট গেটওয়েতে মোবাইল ব্যালেন্স নির্বাচন করতে হবে। মোবাইল নাম্বার ও ওটিপি দেয়ার পরে গ্রাহকের মোবাইল থেকে সার্ভিস ফি কেটে নেয়া হবে। এ সেবা ব্যবহারে প্রথমেই গ্রাহককে এনআইডি ভেরিফাই করার মাধ্যমে পোর্টালে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে।
এ নিয়ে এটুআই’র আইসিটি বিভাগের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, “আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ একপে’তে সকল ব্যাংক ও এমএফএস সেবা যুক্ত করা হয়েছে, যেনো ২৩টি ইউটিলিটি বিলসহ বিভিন্ন পাবলিক সেবার বিল পরিশোধে পিটুজি (পারসন টু গভর্নমেন্ট) পেমেন্ট নিশ্চিত করা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “গত দশকে এমএফএস সেবার প্রবৃদ্ধি ও এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারিত হলেও প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ (বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে) মানুষ ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে রয়েছেন। সরকারি ইকোসিস্টেমে পিটুজি পেমেন্টের অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে আমরা মোবাইল অপারেটরদের সাথে নিয়ে ডিরেক্ট অপারেটর বিলিং (ডিওবি) সুবিধা চালু করেছি।
গ্রামীণফোনের সিডিও সোলায়মান আলম বলেন, “এ সেবার মাধ্যমে সবাই যেনো আমাদের দেশজুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক কাভারেজের মাধ্যমে সহজে সরকারি সেবা গ্রহণের সুযোগ পায়, তা নিশ্চিতেই আমরা কাজ করছি।”
ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় মন্ত্রীপরিষদ ও আইসিটি বিভাগের এটুআই (অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট) প্রোগ্রামের উদ্যোগগুলো জনগণ, বিশেষ করে প্রান্তিক অঞ্চলে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।